শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন

গাইবান্ধার গ্রাম পুলিশদের ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের বাইসাইকেল সরবরাহ

গাইবান্ধার গ্রাম পুলিশদের ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের বাইসাইকেল সরবরাহ

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার গ্রাম পুলিশদের সরকার বরাদ্দকৃত বাই-সাইকেল টেন্ডারের সিডিউল মোতাবেক বাইসাকেল সরবরাহ না করে নিম্নমানের সাইকেল সরবরাহ করেছে ঠিকাদার। ফলে ওই নিম্নমানের সাইকেল নিতে অস্বীকৃতি জানায় গ্রাম পুলিশরা। এতে বাই-সাইকেল বিতরণ স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার ৮১ ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশদের (দফাদার ও মহল্লাদার) ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে পোশাক ও সরঞ্জামাদি বিতরণের জন্য ১ কোটি ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে রংপুর, গাইবান্ধা, খুলনা ও ঢাকার ঠিকাদাররা অংশ নেয়। এরমধ্যে গাইবান্ধা শহরের ঠিকাদার নজরুল হকের নামে সিয়াম স্টোর ১ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৬০ টাকা ও মেসার্স নজরুল হক ১ কোটি ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রী মালেকা নজরুলের নামে ড্রেসি টেইলার্স ৫৭ লাখ টাকা দরে দরপত্র দাখিল করে।
অপরদিকে খুলনার নূর এন্টারপ্রাইজ ৬৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯০ টাকা, এস.আর কর্পোরেশন ৯২ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা, আনন্দ ট্রেড কর্পোরেশন ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ টাকা এবং রংপুরের দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। পরে ঠিকাদার নজরুল হক মালামাল সরবরাহের কার্যাদেশ পান। সিডিউল অনুযায়ী পুরুষদের ৭৯০টি ও মহিলাদের ২০টি ইনডিয়ান-বিএসএ/ হিরো/ দুরন্ত বাংলাদেশী সাইকেল সরবরাহ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার নজরুল হক বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জোড়া দিয়ে নিমানের বাইসাইকেল তৈরি করে হিরো স্টিকার লাগিয়ে বিতরণের চেষ্টা করেন। ফলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সদর উপজেলার গ্রাম পুলিশদের মধ্যে বিতরণ করার সময় এসব নিম্নমানের বাইসাইকেল গ্রহণে গ্রাম পুলিশরা অস্বীকৃতি জানায়। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাই সাইকেল বিতরণ স্থগিত করা হয়।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোছাঃ রোখছানা বেগম বলেন, বিতরণ করার জন্য নয়, তাদেরকে সাইকেলগুলো দেখানোর জন্য ডাকা হয়েছিল। আমাদের কাছে জমা দেয়া নমুনার সাথে মিল না থাকলে ঠিকাদারের কাছ থেকে সাইকেল সরবরাহ নেয়া হবে না। সে মোতাবেক নমুনার সাথে মিল না থাকায় ঠিকাদারের কাছ থেকে সাইকেল গ্রহণ না করে ফেরত দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ঠিকাদার নজরুল হক নিজের নামে দুটি ও স্ত্রীর নামে একটি লাইসেন্স করে বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডার হাতিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহ করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com